পাকিস্তানি ক্রিকেটারের গাড়ি আটকে ঘুষ গ্রহণ, ৪ পুলিশ গ্রেপ্তার
২৯ নভেম্বর ২০২৩

পাকিস্তান জাতীয় দলের ক্রিকেটারের গাড়ি আটকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে দেশটির সিন্ধু প্রদেশের চার পুলিশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে আরও দুই পুলিশকে বরখাস্ত করা হয়। সোহাইব মাকসুদ নামের ওই ক্রিকেটার ২০২১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। সিন্ধু প্রদেশের শহীদ বেনিজারাবাদ জেলার ডিআইজি পারভেজ চান্দিওর বরাত দিয়ে খবরটি নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানের শীর্ষ গণমাধ্যম ‘ডন’।
ঘটনার দিন করাচি থেকে সড়ক পথে মুলতান যাচ্ছিলেন মাকসুদ। সাকরান্দ নামক একটি স্থানে পুলিশ তার গাড়ি আটকে টাকা দাবি করে। পরবর্তীতে মাকসুদ তার সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে সব ফাঁস করে দিলে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। টুইটারের সেই পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, “আমরা কয়েকজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ম্যাচ খেলতে মুলতান যাচ্ছিলাম। তারা আমাদের গাড়ি আটকে অনুমতি দেওয়ার নামে ৮ হাজার (পাকিস্তানি) রুপি নিয়েছে।”
মাকসুদ আরও দাবি করেন, টাকা না দিলে পুলিশ তাদেরকে থানায় নিয়ে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছে। সিন্ধু প্রাদেশিক পুলিশকে ব্যঙ্গ করে তিনি লিখেন, “আমরা সৌভাগ্যবান যে পাঞ্জাবে বসবাস করি, সিন্ধুতে নয়।” মাকসুদের পোস্ট নজরে আসে সিন্ধু পুলিশের মহাপরিদর্শক রাফাত রাজার। তিনি সাথে সাথে শহিদ বেনজিরাবাদ পুলিশকে এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন। রাফাত রাজা ‘ডন’কে বলেছেন, “জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে”। এছাড়া পুলিশ কর্মকর্তা পারভেজ চান্দিও ‘ডন’কে বলেছেন, “অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা অস্পষ্ট নাম্বার প্লেট এবং বিম লাইটের জন্য ৩ হাজার রুপি জরিমানা করার কথা স্বীকার করেছে।”
পাকিস্তানের হয়ে ২৯টি ওয়ানডে আর ২৬টি টি-টোয়েন্টি খেলা মাকসুদ জিও নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “সিন্ধুর টোল প্লাজার প্রায় দুই কিলোমিটার পর সাকরান্দের কাছে এক নির্জন স্থানে পুলিশ আমাদের গাড়ি আটকায়। তারা কাগজ দেখতে চাইলে আমি বলি, এটা তাদের এখতিয়ার নয়। তারা আমাকে ১ লাখ রুপি জরিমানার হুমকি দেন। আমি তখন বলি, ট্রাফিক পুলিশ ধরলেও সর্বোচ্চ ২৫০০ রুপি জরিমানা করবে। তখন পুলিশ সদস্যরা আমাদের থানায় নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন। আমরা যেহেতু প্রথমবার সিন্ধুতে যাচ্ছিলাম, তাই অনেক দর কষাকষির পর তাদের ৮ হাজার রুপি দিয়ে দেই। রাতের বেলা বিচ্ছিন্ন একটা স্থানে এমন ঘটনায় আমরা ভীষণ আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। তাদের আচরণ খুবই বাজে ছিল। আমি তাদের ঊর্ধ্বতন অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে আরও বাজে আচরণ করেছিল।”
মন্তব্য করুন: