আর্সেনালের স্বপ্ন ভেঙে ফাইনালে পিএসজি
৮ মে ২০২৫

নিজেদের ইতিহাসের দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠতে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলছিল আর্সেনাল। কিন্তু প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের বাধায় গোলের দেখা পাচ্ছিল না তারা। উল্টো প্রথমার্ধেই এগিয়ে যায় পিএসজি। বিরতির ব্যবধান আরও বাড়ায় তারা। শেষ পর্যন্ত একটি গোল শোধ দিলেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি মিকেল আর্তেতার দল। দুই লেগের জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা লড়াইয়ের মঞ্চে উঠেছে ফরাসি ক্লাবটি।
বুধবার রাতে ঘরের মাঠে সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগে আর্সেনালকে ২-১ গোলে হারায় পিএসজি। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ গোলের অগ্রগামিতায় ফাইনালে ওঠে তারা। গত সপ্তাহে আর্সেনালের মাঠে প্রথম লেগটি ১-০ গোলে জিতেছিল লুইস এনরিকের দল।
পুরো ম্যাচে বল দখলে কিছুটা এগিয়ে থাকা আর্সেনাল গোলের জন্য মোট শট নেয় ১৯টি, যার মধ্যে ৪টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে পিএসজি ১১টি শটের মধ্যে ৬টি লক্ষ্যে রাখতে পারে।
ম্যাচের শুরু থেকেই পিএসজির রক্ষণভাগে আক্রমণের ঝড় তোলে আর্সেনাল। কিন্তু গোলরক্ষক জানলুইজি দেন্নারুম্মার দুর্দান্ত নৈপুণ্যে জালের দেখা পায়নি তারা। উল্টো ২৭তম মিনিটে গোল করে পিএসজিকে এগিয়ে দেন ফাবিয়ান রুইস।
বিরতির পর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে আবারও পিএসজির রক্ষণে আঘাত হানে আর্সেনাল। কিন্তু এবারও বাধা হয়ে দাঁড়ান দেন্নারুম্মা। ৬৩তম মিনিটে বুকায়ো সাকার জোরাল শট ঝাপিয়ে এক হাত দিয়ে আটকে দেন ইতালিয়ান এই গোলরক্ষক।
৬৯তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ আসে পিএসজির সামনে। কিন্তু ভিতিনিয়ার দুর্বল শট আটকে দেন আর্সেনাল গোলরক্ষক। অবশ্য মিনিট তিনেক পর আশরাফ হাকিমির গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে দলটি।
৭৬তম মিনিটে এক গোল শোধ দেন সাকা। এর মিনিট চারেক পর ম্যাচে সমতায় ফেরার সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন ইংলিশ এই ফরোয়ার্ড।
শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হওয়ায় ইউরোপ ক্লাব সেরার আসরে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে ওঠে পিএসজি। সবশেষ ২০২০ সালে শিরোপা লড়াইয়ের মঞ্চে উঠেছিল তারা। কিন্তু বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে শিরোপা ছোঁয়া হয়নি তাদের। আগামী ৩১ মে মিউনিখের ফাইনালে ইন্টার মিলানের মুখোমুখি হবে দলটি।
মন্তব্য করুন: