বাংলাদেশের সামনে লিড নেওয়ার হাতছানি
২৯ নভেম্বর ২০২৩

সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ম্যাচ চলে এসেছে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে। ঘূর্ণিবলে বাংলাদেশের নায়ক তাইজুল ইসলাম। কেইন উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ২৬৬ রান তোলা নিউ জিল্যান্ড এখনও ৪৪ রানে পিছিয়ে। তৃতীয় দিন সকালে অতিথিদের বাকি দুই উইকেট দ্রুত তুলে নিতে পারলেই লিড পাবে বাংলাদেশ। যা সিলেটের ঘূর্ণি উইকেটে দ্বিতীয় ইনিংসে টাইগারদের কিছুটা হলেও এগিয়ে রাখবে।
সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিনে দেখেশুনে নিজেদের প্রথম ইনিংস শুরু করেন নিউ জিল্যান্ডের দুই ওপেনার টম ল্যাথাম এবং ডেভন কনওয়ে। স্কোরবোর্ডে ৩৬ রান যোগ হতেই তাইজুল ইসলামকে সুইপ করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে নাঈম হাসানের তালুবন্দি হন ২১ রান করা ল্যাথাম। অপর ওপেনার ডেভন কনওয়েও (১২) টিকতে পারেননি। মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণিতে সিলি পয়েন্টে ডান দিকে ঝাঁপিয়ে অসাধারণ ক্যাচ নেন শাহাদাত হোসেন। তৃতীয় উইকেটে ৫৪ রানের জুটি উপহার দেন কেইন উইলিয়ামসন এবং হেনরি নিকোলাস। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে নিকোলাসকে (১৯) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম।
একপ্রান্ত আগলে রাখা উইলিয়ামসন ৭৫ বলে ফিফটি তুলে পূরণ করেন। অন্যপ্রান্তে ৪১ রান তুলে ফেলা ড্যারি মিচেলকে স্টাম্পিং করে ৬৬ রানের জুটি ভাঙেন সোহান। সেই তাইজুলই দ্বিতীয় সেশনের শেষদিকে উইলিয়ামসনের সহজ ক্যাচ ফেলে তাকে জীবন দেন। তৃতীয় সেশনের শুরুতে টম ব্লান্ডেলকে (৬) সোহানের গ্লাভসবন্দি করে প্রথম শিকার ধরেন নাঈম হাসান। দিনের শেষদিকে বল হাতে নিয়েই সাফল্য পান মুমিনুল। তার বলে গ্লেন ফিলিপসের দেওয়া (৪২) ক্যাচ স্লিপে অপূর্ব দক্ষতায় তালুবন্দি করেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
এর পরপরই অসাধারণ নান্দনিক ব্যাটিংয়ে ১৮৯ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেন উইলিয়ামসন। এটা তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৯তম সেঞ্চুরি। তাইজুলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে তিনি করেন ২০৫ বলে ১১ বাউন্ডারিতে ১০৪ রান। আলো কমে আসায় ৮৪ ওভার শেষে দিনের খেলার ইতি টানেন আম্পায়ার। দিনশেষে কিউইদের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৬৬ রান। কাইল জেমিসন ৭* এবং অধিনায়ক টিম সাউদি ১* রানে অপরজিত আছেন। কিউইরা এখনো পিছিয়ে আছে ৪৪ রানে। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে ৩০ ওভার বোলিং করে ৮৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। ১টি করে পেয়েছেন শরীফুল, মিরাজ, নাঈম এবং মুমিনুল।
এর আগে বুধবার দিনের প্রথম বলেই বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩১০ রানে অল-আউট হয়। সর্বোচ্চ ৮৬ রান করেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। আর কোনো ব্যাটার চল্লিশের ঘরেও যেতে পারেননি। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ৩৫ বলে ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে বাজে শটে আউট হন। অভিজ্ঞ মুমিনুল হক ৩৭ রান করেন। আরেক অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ১২ রান করে ফিরেন দৃষ্টিকটু শটে। শেষদিকে নুরুল হাসান সোহান ২৮ বলে ২৯, অভিষিক্ত শাহাদাত হোসেন ৫৪ বলে ২৪, শরীফুল ইসলাম ৯ বলে ১৩ রানের ইনিংস উপহার দেন।
মন্তব্য করুন: