নিউ জিল্যান্ডকে ৩১৭ রানে থামাল বাংলাদেশ
৩০ নভেম্বর ২০২৩

দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ প্রায় চলে এসেছিল বাংলাদেশের হাতে। সুযোগ ছিল এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করারও। কিন্তু তৃতীয় দিন সকালে নবম উইকেট কাইল জেমিসন ও টিম সাউদির ৫২ রানের জুটিতে সেই সুযোগ হাতছাড়া করে টাইগাররা। মুমিনুল হক শেষ দুই উইকেট নিয়ে নিউ জিল্যান্ডকে থামান ৩১৭ রানে।
তাই সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংস শেষে ৭ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করবে বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে ২৬৬ রানে দিনের খেলা শুরু করা জেমিসন- সাউদির জুটি ভাঙতে বেশ মরিয়া হয়েই আবারও মুমিনুলের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ফলও আসে দ্রুতই। দিনে নিজের দ্বিতীয় ওভারেই এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন জেমিসনকে (২৩)। একই ওভারের পঞ্চম বলে সাউদিকে (৩৫) বোল্ড করে কিউইদের ইনিংস গুটিয়ে দেন বাঁহাতি মুমিনুল।
আগের দিন নিউ জিল্যান্ডের দুই ওপেনার টম ল্যাথাম এবং ডেভন কনওয়ে দেখেশুনেই খেলছিলেন। তবে স্কোরবোর্ডে ৩৬ রান যোগ হতেই তাইজুল ইসলামকে সুইপ করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে নাঈম হাসানের তালুবন্দি হন ২১ রান করা ল্যাথাম। অপর ওপেনার ডেভন কনওয়েও (১২) টিকতে পারেননি। মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণিতে সিলি পয়েন্টে ডান দিকে ঝাঁপিয়ে অসাধারণ ক্যাচ নেন শাহাদাত হোসেন।
তৃতীয় উইকেটে ৫৪ রানের জুটি উপহার দেন কেইন উইলিয়ামসন এবং হেনরি নিকোলাস। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে নিকোলাসকে (১৯) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম।
একপ্রান্ত আগলে রাখা উইলিয়ামসন ৭৫ বলে ফিফটি তুলে পূরণ করেন। অন্যপ্রান্তে ৪১ রান তুলে ফেলা ড্যারি মিচেলকে স্টাম্পিং করে ৬৬ রানের জুটি ভাঙেন সোহান। সেই তাইজুলই দ্বিতীয় সেশনের শেষদিকে উইলিয়ামসনের সহজ ক্যাচ ফেলে তাকে জীবন দেন।
তৃতীয় সেশনের শুরুতে টম ব্লান্ডেলকে (৬) সোহানের গ্লাভসবন্দি করে প্রথম শিকার ধরেন নাঈম হাসান। দিনের শেষদিকে বল হাতে নিয়েই সাফল্য পান মুমিনুল। তার বলে গ্লেন ফিলিপসের দেওয়া (৪২) ক্যাচ স্লিপে অপূর্ব দক্ষতায় তালুবন্দি করেন শান্ত।
এরপরই নান্দনিক ব্যাটিংয়ে ১৮৯ বলে ক্যারিয়ারের ২৯তম সেঞ্চুরি পূরণ করেন উইলিয়ামসন। তাইজুলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে তিনি করেন ২০৫ বলে ১১ চারে ১০৪ রান।
বোলারদের মধ্যে ৩৯ ওভার বল করে ১০৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। মুমিনুলের শিকার ৩ উইকেট।
মন্তব্য করুন: