জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ
১ ডিসেম্বর ২০২৩
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেট টেস্ট জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ। বড় টার্গেট তাড়ায় নেমে ইতোমধ্যেই কিউইদের পাঁচ উইকেটের পতন হয়েছে। ইনিংসের ৩২ ওভারে সফরকারীদের সংগ্রহ ৭১ রান। জয়ের জন্য আরও প্রয়োজন ২৬১ রানের।
৩৩২ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে নিউ জিল্যান্ড। শরীফুল ইসলামের করা ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে টম ল্যাথাম (০) ধরা পড়েন কিপারের গ্লাভসে। দশম ওভারের শেষ বলে মহাগুরুত্বপূ্র্ণ ব্রেক থ্রু দেন তাইজুল। ১১ রান করে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান কেইন উইলিয়ামসন। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজের বলে হেনরি নিকোলাস (২) ক্যাচ দিলে ৩০ রানে ৩ উইকেটা হারায় কিউইরা। শেষ সেশনের শুরুতে বিপজ্জনক ওপেনার ডেভন কনওয়েকে (২২) শাহাদাতের তালুবন্দি করেন তাইজুল। দুই ওভার পর সেই তাইজুলের বলেই কিপারের গ্লাভসে ধরা পড়েন টম ব্লান্ডেল (৬)। ৬০ রানে ৫ উইকেট পতন হয় কিউইদের।
এর আগে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ৩৩৮ রানে। শুক্রবার চতুর্থ দিনে বাংলাদেশের শুরু হয়েছিল ৩ উইকেটে ২১২ রান নিয়ে। সেঞ্চুরিয়ান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ১০৫ রান করে টিম সাউদির করা দিনের দ্বিতীয় ওভারে আউট হয়ে যান। তার ১৯৮ বলের ইনিংসে ছিল ১০টি বাউন্ডারি। ৭৯ বলে ফিফটি পূরণ করেন মুশফিকুর রহিম। অভিষিক্ত শাহাদাত ১৯ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ১৮ রান করে ইশ সোধির বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন। অভিজ্ঞ মুশফিকও তার দারুণ ইনিংসটা তিন অংকে নিতে পারেননি। সোধির বলে এলবিডাব্লিউ হওয়ার আগে করেন ১১৬ বলে ৭ চারে ৬৭ রান।
নুরুল হাসান সোহানকে (১০) কট অ্যান্ড বোল্ড করেন গ্লেন ফিলিপস। মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই বাংলাদেশের লিড তিনশ ছাড়িয়ে যায়। বিরতির পর মাত্র ৬ ওভার ৪ বল স্থায়ী হয়েছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। এর মাঝেই ৭৬ বলে ফিফটি তুলে নেন মিরাজ। শেষ পর্যন্ত তিনি ৫০ রানেই অপরাজিত থাকেন। শরীফুল ইসলামের (১০) সঙ্গে শেষ উইকেটে তার ২২ বলে ২৬ রানের জুটি ছিল দারুণ কার্যকর। শরীফুলের বিদায়েই ৩৩৮ রানে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়। কিউইদের হয়ে ৩৬.৪ ওভার বল করে ১৪৮ রানে আজাজ প্যাটেল নেন ৪ উইকেট। দুটি নেন অপর স্পিনার ইশ সোধি।
সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩১০ রানে অল-আউট হয়েছিল বাংলাদেশ। জবাবে ৩১৭ রানে নিউ জিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস শেষ হয়।
মন্তব্য করুন: