রাদারফোর্ড-রাসেলের রেকর্ড জুটিতে উইন্ডিজের দুর্দান্ত জয়
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

প্রথম দুই টি-টুয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পাত্তা না পাওয়ায় আগেই সিরিজ হাতছাড়া হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচেও সফরকারীরা যেভাবে শুরু করেছিল, তাতে করে এই ম্যাচটিও নাগালের বাইরে যেতে বসেছিল। কিন্তু ষষ্ঠ উইকেটে শারফেইন রাদারফোর্ড ও আন্দ্রে রাসেলের রেকর্ড গড়া এক বিধ্বংসী জুটি জয়ের ভিত গড়ে দেয়। আর বোলারদের নৈপুণ্যে স্বাগতিকদের ৩৭ রান হারিয়ে জয় দিয়েই এক মাসের অস্ট্রেলিয়া সফর শেষ করেছে ক্যারিবিয়ানরা।
মঙ্গলবার পার্থে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। অভিষিক্ত জেভিয়ার বার্লেটের আগুন ঝরানো বোলিংয়ে প্রথম তিন ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে দারুণ চাপে পড়ে তারা। তবে চতুর্থ উইকেটে রস্টন চেজকে নিয়ে ঝড়ো ৫৫ রানের জুটি গড়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল। কিন্তু পরপর দুই ওভারে এই দুই ব্যাটার সাজঘরে ফিরলে সফরকারীরা আবারও চাপে পড়ে।
৯ ওভারের আগেই ক্যারিবিয়ানদের অর্ধেক ব্যাটারকে সাজঘরে ফিরিয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখা স্বাগতিকদের তা দুঃস্বপ্নে পরিণত করেন রাদারফোর্ড ও রাসেল। বোলারদের বেধম পিটিয়ে ৬৭ বলে ১৩৯ রানের রেকর্ড জুটিতে দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২২০ রান। মাত্র ২৯ বলে ৭ ছক্কা ও ৪ চারে ৭১ রানে ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে সাজঘরে ফেরেন রাসেল। অপর প্রান্তে, ৪০ বলে ৫টি করে চার ও ছক্কায় রাদারফোর্ড ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন। আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে ষষ্ট উইকেটে এর আগে সর্বোচ্চ ১১৫ রানের জুটিটি ছিল পাপুয়া নিউ গিনির।
আগের দুই ম্যাচে দুইশ রান করা অস্ট্রেলিয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এদিনও উড়ন্ত সূচনা পায়। মিচেল মার্শ ও ডেভিড ওয়ার্নারের উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৩৯ বলে ৬৮ রান। মার্শ (১৭) ফিরলেও বোলারদের ওপর আক্রমণ চালাতেই থাকেন ওয়ার্নার। কিন্তু পরপর দুই ওভারে অ্যারন হার্ডি (১৬) ও ওয়ার্নার সাজঘরে ফিরলে স্বাগতিকদের রানে গতি কমে আসে। সিরিজে নিজের দ্বিতীয় ফিফটিতে ওয়ার্নার করেন ৪৯ বলে ৮১ রান। শেষের দিকে টিম ডেভিডের ১৯ বলে ঝড়ো ৪১ রান শুধু ব্যবধানই কমিয়েছে। আর অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস থামে ৫ উইকেটে ১৮৩ রানে।
মন্তব্য করুন: