চোট পাওয়া ক্রিকেটারের বদলির নিয়ম চায় ভারত, ইংল্যান্ডের বিরোধিতা

২৮ জুলাই ২০২৫

চোট পাওয়া ক্রিকেটারের বদলির নিয়ম চায় ভারত, ইংল্যান্ডের বিরোধিতা

টেস্ট ক্রিকেটে চোটের জন্য বদলি খেলোয়াড়ের নিয়ম চালু করার ব্যাপারে আওয়াজ তুলেছেন ভারতের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর। তবে এই ধারণাকে একেবারে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস।

ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ইংল্যান্ড-ভারতের সিরিজের চতুর্থ টেস্টের প্রথম দিনই ডান পায়ে চোট পেয়ে সিরিজের বাকি অংশ থেকে ছিটকে যান রিশাভ পান্ত। তবে দলের প্রয়োজনে পরদিন চিঁড় ধরা পড়া পা নিয়ে খোঁড়াতে খোঁড়াতে আবারও ব্যাটিংয়ে নেমে আরও ১৭ রান করেন তিনি।

পান্তের এই সাহসিকতার প্রতি সম্মান জানিয়ে সোমবার ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে গম্ভীর বলেন, “ওর সাহসের প্রশংসা যত করা হোক, কম হবে।

এরপরই টেস্টে চোটের জন্য বদলি খেলোয়াড়ের প্রয়োজনীয়তার কথা বলে ভারত কোচ বলেন, “আমি পুরোপুরি এর পক্ষে। আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি যদি দেখেন ও অনুভব করেন যে এটা গুরুতর ইনজুরি, তাহলে একজন রিপ্লেসমেন্ট থাকা জরুরি। বিশেষ করে এমন একটি সিরিজে যেখানে প্রতিটি ম্যাচই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে। কল্পনা করুন, যদি আমাদের দশ জন নিয়ে এগারো জনের বিপক্ষে খেলতে হতো, তাহলে এটা আমাদের জন্য কতটা দুর্ভাগ্যজনক।

পান্তের অনুপস্থিতিতে উইকেটকিপিংয়ের দায়িত্ব সামলান ধ্রুব জুরেল। এর আগে লর্ডসে সিরিজের তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে কিপিংয়ের সময় পান্ত আঙুলে চোট নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। এরপর ম্যাচের পুরোটা সময় কিপিং করেছিলেন জুরেল। তবে নিয়ম অনুযায়ী বদলি খেলোয়াড়ের ব্যাটিং বা বোলিংয়ের সুযোগ নেই।

আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, কনকাশন বা কোভিড আক্রান্ত খেলোয়াড়ের পরিবর্তে বদলি খেলোয়াড়কে খেলানোর নিয়ম থাকলেও অন্যান্য চোটের ক্ষেত্রে সেই সুযোগ নেই।

তবে টেস্টে চোটের জন্য বদলি খেলোয়াড়ের ধারণার ঘোর বিরোধিতা করেছেন স্টোকস। ইংলিশ অধিনায়কের মতে, এই নিয়মের চালু করা হলে অতিরিক্ত ফাঁকফোকর তৈরি হবে। ফলে দলগুলো এটির অপব্যবহার করার সুযোগ পাবে।

সংবাদ সম্মেলনে স্টোকস বলেন, “আমার মতে এটা একদমই হাস্যকর একটা বিষয় যে, চোটের বদলি নিয়ে কোনো আলোচনা হচ্ছে। চোট খেলাধুলারই অংশ। কনকাশন বদলির বিষয়টা আমি পুরোপুরি বুঝি, এটা খেলোয়াড়দের সুরক্ষার জন্য। তবে আমি সত্যিই মনে করি, এই আলোচনাটা এখানেই থামানো উচিত। কারণ এমআরআই স্ক্যান করা হলে আমি যে কাউকেই সরাসরি বদলি হিসেবে পাবো।

আপনি যদি এমআরআই স্ক্যান করান, একজন বোলারের ক্ষেত্রে দেখাবে যে, তার হাঁটুতে কিছু ফোলা আছে। ‘দুর্দান্ত, এখন তাহলে আমরা তরতাজা একজন বোলার নামাতে পারব।‘ তাই আমি মনে করি এই আলোচনাটা একেবারেই বন্ধ হওয়া উচিত।

মন্তব্য করুন: