এনগিডির পেস তোপে অস্ট্রেলিয়াকে গুঁড়িয়ে সিরিজ জিতল দ. আফ্রিকা

২২ আগস্ট ২০২৫

এনগিডির পেস তোপে অস্ট্রেলিয়াকে গুঁড়িয়ে সিরিজ জিতল দ. আফ্রিকা

ম্যাথিউ ব্রিটস্কির রেকর্ড গড়া ইনিংসের পর ট্রিস্ট্যান স্টাবসের ফিফটিতে লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। রান তাড়ায় লুঙ্গি এনগিডির পেস তোপে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে দুইশ রানও করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ৮৪ রানের জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে প্রোটিয়ারা।

শুক্রবার ম্যাকাইয়ে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৭৭ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে এনগিডির ৫ উইকেট শিকারে ৭৪ বল আগে ১৯৩ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। এই নিয়ে ঘরের মাঠে টানা চার ম্যাচে দুইশর আগেই অলআউট হলো বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

দেশটির বিপক্ষে প্রোটিয়াদের এটি টানা পঞ্চম দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ জয়, যার শুরুটা হয়েছিল ২০১৬ সালে। অন্যদিকে টানা তিনটি ওয়ানডে সিরিজ হারল অস্ট্রেলিয়া।

নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে ছাড়া খেলতে নামা প্রোটিয়াদের শুরুটা ভালো হয়নি। ২৩ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার এইডেন মারক্রাম ও রায়ান রিকেলটন হারায় তারা। তৃতীয় উইকেটে টনি ডি জর্জিকে নিয়ে সেই ধাক্কা সামাল দেন ব্রিটস্কি। ডি জর্জির (৩৮) বিদায়ে ৬৭ রানের এই জুটি থামে।

চতুর্থ উইকেটে ব্রিটস্কি-স্টাবসের ৮৯ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪৬ বলে ফিফটি হাঁকিয়ে অনন্য এক কীর্তি গড়েন ব্রিটস্কি। ওয়ানডে ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ক্যারিয়ার প্রথম চার ম্যাচের সবকটিতে পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলার রেকর্ড গড়েন ডানহাতি এই ব্যাটার। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ছিলেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির পথেও। কিন্তু তার ৮৮ রানের ইনিংসটি থামিয়ে এই জুটি ভাঙেন অ্যাডাম জ্যাম্পা।

অবশ্য এর মধ্যে আরও একটি রেকর্ড নিজের দখলে নেন ব্রিটস্কি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম চার ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ৩৭৮ রান করার রেকর্ড গড়েন ২৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। ভাঙেন স্বদেশি বাভুমার ২৮০ রানের আগের রেকর্ড।

ব্রিটস্কির বিদায়ের পর কমে আসে প্রোটিয়াদের রানের গতিও। ৭৪ রান করে স্টাবস ফিরলে তা আরও কমে যায়। শেষ পর্যন্ত ৪৯ ওভার ১ বলে থামে সফরকারীদের ইনিংস।

এরপর এনগিডি ও নান্দ্রে বার্গারের পেস তোপে ৩৮ রানের ভেতর স্বাগতিকরা হারায় ট্র্যাভিস হেড (৬), মার্নাস লাবুশেন (১) ও অধিনায়ক মিচেল মার্শের উইকেট। জবাবে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে একাই লড়াই করেন জশ ইংলিস। চতুর্থ উইকেটে ক্যামেরন গ্রিনকে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। গ্রিনের (৩৫) বিদায়ে ৬৭ রানের এই জুটি ভাঙলে আরও চাপে পড়ে স্বাগতিকরা।

পরের আর কেউই ইংলিসকে সঙ্গ দিতে পারেননি। অ্যালেক্স ক্যারি (১৩) ও অ্যারন হার্ডি (১০) বিদায় নেন দ্রুত। এক প্রান্তে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া ৭৪ বলে ৮৭ রান করা ইংলিসকে ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের আশা শেষ করে দেন এনগিডি। জ্যাম্পাকে তুলে নিয়ে ডানহাতি এই পেসার স্বাগতিকদের ইনিংস গুটিয়ে দেন ৩৭ ওভার ৪ বলে। ৪২ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি।

একই মাঠে আগামী রোববার সিরিজের শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

মন্তব্য করুন: