দ. আফ্রিকাকে ৩৪২ রানে হারিয়ে ইংল্যান্ডের বিশ্বরেকর্ড
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জো রুট ও জ্যাকব বেথেলের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে উঠেছিল ইংল্যান্ড। রান তাড়ায় প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ নিজেদের করে নেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে পড়ল তাসের ঘরের মতো। জোফরা আর্চারের পেস তোপের পর আদিল রশিদের ঘূর্ণিতে আশি রানও করতে পারল না তারা। আর এতেই ৩৪২ রানে সিরিজের শেষ ম্যাচ জিতে রানের হিসেবে ওয়ানডে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড গড়েছে ইংলিশরা।
রোববার সাউদাম্পটনে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ৫ উইকেটে ৪১৪ রান তোলে ইংল্যান্ড। জবাবে ২০ ওভার ৫ বলে ৭২ রানে শেষ হয় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।
এতদিন ওয়ানডেতে রানের হিসেবে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ডটি ছিল ভারতের। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কাকে ৩১৭ রানে হারিয়েছিল তারা। সেবার ৩৯১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৭৩ রানে অলআউট হয়েছিল লঙ্কানরা।
এর আগে ওয়ানডেতে রানের হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় পরাজয়টি ছিল ২৭৬ রানের। গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ৪৩২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১৫৫ রানে গুটিয়ে যায় তারা।
এদিন প্রোটিয়াদের ইনিংসে ধসের শুরুটা করেন আর্চার। ডানহাতি এই ফাস্ট বোলারের আগুন ঝরানো বোলিংয়ে ১৮ রান তুলতেই শুরুর পাঁচ ব্যাটারকে হারায় সফরকারীরা। ১৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি। রশিদের শিকার ৩ উইকেট।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৫৯ রান। আগের দুই ম্যাচে ব্যর্থ হওয়া বেন ডাকেটের (৩১) বিদায়ে এই জুটি ভাঙে। দ্বিতীয় উইকেটে রুটকে নিয়ে প্রোটিয়াদের ওপর ঝড় তোলেন জেইমি স্মিথ। ৪৮ বলে ৬২ রান করে ডানহাতি এই ব্যাটারের বিদায়ে ভাঙে ৫৮ রানের জুটিটি।
এরপর প্রোটিয়াদের ওপর রীতিমত তাণ্ডব চালান রুট-বেথেল জুটি। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৭৬ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন বেথেল। ৮২ বলে ১৩ চার ও ৩ ছক্কায় বাঁহাতি এই ব্যাটার ১১০ রান করে বিদায় নিলে ভাঙে ১৮২ রানের জুটি। একই ওভারে রানআউটে কাটা পড়েন অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক (৩)।
দ্রুত দুই উইকেট পতনের পরও আগ্রাসন চালিয়েন যান রুট ও জস বাটলার। ৯৬ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৯তম সেঞ্চুরি তুলে নেন রুট। পরের বলেই ১০০ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। শেষ পর্যন্ত বাটলার (৬২*) ও উইল জ্যাকসের (১৯*) তাণ্ডবে চারশ পার করে ইংলিশরা। শেষ ১০ ওভারে দলের খাতায় যোগ হয় ১১৫ রান।
লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই আর্চারের শিকার হয়ে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন এইডেন মারক্রাম। ব্রাইডন কার্সের পরের ওভারে আউট হন ভিয়ান মুল্ডার (০)। এরপর ইংলিশ পেসারদের তোপে আর কেউই দাঁড়াতে পারেননি। ক্যারিয়ারের প্রথম পাঁচ ম্যাচে পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলা ম্যাথিউ ব্রিটস্কি আর্চারের শিকার হয়ে ফেরেন ৪ রান করে।
৫৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বনিম্ন সংগ্রহ ৬৯ রানের ভেতর অলআউট হওয়ার শঙ্কায় পড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু কর্বিন বোশের ২০ রানের সুবাদে তা আর হয়নি। ডানহাতি এই ব্যাটারকে ফেরান রশিদ।
ফিল্ডিংয়ের সময় অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা চোট পাওয়ায় রান তাড়ায় তার ব্যাটিংয়ে নামা নিয়ে আগে থেকেই শঙ্কা ছিল। শেষ পর্যন্ত তিনি আর না নামায় সেখানেই শেষ হয় প্রোটিয়াদের ইনিংস।
মন্তব্য করুন: