সুপার ফোরেও ভারতের কাছে পাত্তা পেল না পাকিস্তান
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আক্রমণাত্মক শুরুর পর মাঝের ওভারগুলোতে রানের গতি হারিয়ে ফেলেছিল পাকিস্তান। তবে শেষের ঝড়ে লড়াই করার মতো সংগ্রহ তুলেছিল তারা। লক্ষ্য তাড়ায় শতরানের উদ্বোধনী জুটিতে অর্ধেক কাজ করে দেন অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিল। এতেই গ্রুপপর্বের মতো সুপার ফোরেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের গুঁড়িয়ে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে ভারত।
রোববার দুবাইয়ে সাহিবদাজা ফারহানের ফিফটির সুবাদে ৫ উইকেটে ১৭১ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। জবাবে ৭ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায় সূর্যকুমার যাদবের দল।
৩৯ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ৭৪ রান করে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন অভিষেক। গিল ফেরেন ২৮ বলে ৮ চারে ৪৭ রান করে।
গ্রুপপর্বের মতো এদিনও টসের সময় দু’দলের অধিনায়ক এবং ম্যাচ শেষে উভয় দলের খেলোয়াড়রা একে-অপরের সঙ্গে হাত মেলাননি।
টস জিতে বোলিংয়ে নামা ভারতের ফিল্ডিং খুব একটা ভালো ছিল না। পুরো ইনিংসে মোট পাঁচটি ক্যাচ ছাড়েন ফিল্ডাররা, যার শুরুটা হয় প্রথম ওভারেই। তৃতীয় বলে ফারহানের ক্যাচ তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হন অভিষেক। পরে আরও একটি ক্যাচ ছাড়েন তিনি। এর মাঝে সাইম আইয়ুবের সহজ ক্যাচ ফেলেন কুলদীপ যাদব। শেষ দুই ওভারে আরও দুটি ক্যাচ তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হয় ভারত।
আগের তিন ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ায় এদিন ওপেনিংয়ে নতুন জুটি নামায় পাকিস্তান। কিন্তু ফখর জামানের (১৫) বিদায়ে ভাঙে ২১ রানের উদ্বোধনী জুটি। আগের তিন ম্যাচে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরা সাইম এদিন তিন নম্বরে নেমে ফারহানের সঙ্গে জুটি বাধেন। পাল্টা আক্রমণ ও ফিল্ডারদের ক্যাচ মিসের মহড়ায় দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন তারা। কিন্তু সাইমের (২১) বিদায়ে ৭২ রানের এই জুটি ভাঙতেই কমে আসে রানের গতিও।
একাদশ থেকে ১৬তম ওভারের ভেতর কোনো বাউন্ডারিই মারতে পারেনি পাকিস্তানের ব্যাটাররা। ৪৫ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৮ রান করে ফেরেন ফারহান। শেষ চার ওভারে অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও ফাহিম আশরাফের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলের খাতায় ৫০ রান যোগ হলে ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে লড়াই করার মতো পুঁজি পায় পাকিস্তান।
রান তাড়ায় এদিনও শাহিন শাহ আফ্রিদির প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ভারতকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেওয়ার ইঙ্গিত দেন অভিষেক। অপরপ্রান্তে তার সঙ্গে যোগ দেন গিলও। তাদের তাণ্ডবে ২৮ বলে দলের খাতায় যোগ হয় ৫০ রান। ২৪ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন অভিষেক। অবশ্য এর মাঝে ব্যক্তিগত ৯ ও ৪০ রানে দুটি জীবন পান বাঁহাতি এই ওপেনার।
ফিফটির পথে ছিলেন গিলও। কিন্তু পানি পানের বিরতির পর প্রথম বলেই তাকে তুলে নিয়ে ১০৫ রানের জুটি ভাঙেন ফাহিম। পরের ওভারেই অধিনায়ক সূর্যকুমারকে (০) ফেরান হারিস রউফ। এক ওভার পর বিদায় নেন অভিষেক। এরপর রানের গতি কিছুটা কমলেও তিলক ভার্মার ১৯ বলে অপরাজিত ৩০ রানের ইনিংসে জয় পেতে অসুবিধা হয়নি টি-টুয়েন্টির বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।
[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে।]
মন্তব্য করুন: