বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর মানসিক অবসাদে ফুটবল ছাড়তে চেয়েছিলেন রিশার্লিসন

২৮ মার্চ ২০২৪

বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর মানসিক অবসাদে ফুটবল ছাড়তে চেয়েছিলেন রিশার্লিসন

কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া ব্রাজিলের ফুটবল অঙ্গনের অবস্থা শোচনীয় হয়ে গিয়েছিল। অনেক খেলোয়াড়ই নাকি মানসিক অবসাদে আক্রান্ত ছিলেন, যাদের অন্যতম রিশার্লিসন। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে বাইসাইকেল কিকে গোল করে হইচই ফেলে দেওয়া এই ফরোয়ার্ড মানসিক অবসাদের সঙ্গে লড়াই করেছেন। যেতে হয়েছে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে। শেষ পর্যন্ত তিনি কঠিন পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন।

আগামী বিশ্বকাপের চলতি বাছাইপর্বে গত সেপ্টেম্বরে বলিভিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলের ৫-১ গোলের জয়ের ম্যাচে মাঠ থেকে উঠিয়ে নেওয়ার পর ডাগ-আউটে বসে কেঁদেছিলেন রিশার্লিসন। এই দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে অনেক হাসাহাসিও হয়। পরে রিশার্লিসন জানিয়েছিলেন, তার মনোবিদের সহায়তা প্রয়োজন। এবার সুস্থ হওয়ার পর জানালেন, যন্ত্রণার দিনগুলোতে তিনি ফুটবল ছেড়ে দেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন।

ইএসপিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ২৬ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড, “তখন সদ্যই বিশ্বকাপে খেলেছি, জানি না আসলে… আমি নিজেকে শেষ করে দেওয়ার কথা বলছি না। তবে বিষন্নতায় ভুগছিলাম তখন এবং সব ছেড়ে দিতে চেয়েছিলাম। আমার মতো একজন মানুষ, যাকে মনে হতো মানসিকভাবে ভীষণ শক্ত… বিশ্বকাপের পর মনে হচ্ছিল, সবকিছু চুরমার হয়ে গেছে। অনুশীলনে যাওয়ার আগে মনে হতো, বাড়ি ফিরে যাওয়াই ভালো। বাড়িতে ফিরে গিয়ে নিজের ঘরে বসে থাকতে ইচ্ছে করত।”

রিশার্লিসন আরও বলেন, “জানি না তখন মাথার ভেতর কী চলছিল। এমনকি বাবার কাছে গিয়েও বলেছি যে, আমি (খেলা) ছেড়ে দিতে চাই। বিশ্বকাপের পর আমি যেসবের ভেতর দিয়ে যাচ্ছিলাম, বাবার সঙ্গে এসব কথা বলা ছিল খুবই কষ্টকর। যে ছিল আমার পথচলার সঙ্গী এবং একসঙ্গেই স্বপ্নটাকে তাড়া করেছি, তার কাছে গিয়ে বলা যে, ‘বাবা, আমি (খেলা) ছেড়ে দিতে চাই’ … পুরো পাগলাটে ব্যাপার ছিল এটা।”

শেষে টটেনহ্যাম হটস্পারের এই ফরোয়ার্ডের পরামর্শ, কেউ বিষন্নতায় আক্রান্ত হলে বিশেষজ্ঞের সহায়তা নেওয়া উচিত, “ওই সময় থেরাপিস্ট আমাকে বাঁচিয়েছে। আপনার শুনতে ভালো লাগুক আর নাই লাগুক, সেই থেরাপিস্টই আমার জীবন বাঁচিয়েছেন। তখন আমি অনেক ফালতু কথা ভাবতাম। এখন বুঝি, কারও যদি মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন মনে হয়, তাহলে যাওয়া উচিত, কারণ কারও কাছে এভাবে খোলামেলা হওয়া, মন খুলে কথা বলা, এসব খুবই জরুরি।”

মন্তব্য করুন: