মেসির ছোঁয়ায় এ বছর ২০ কোটি ডলার আয় করতে পারে ইন্টার মায়ামি

মেসির ছোঁয়ায় এ বছর ২০ কোটি ডলার আয় করতে পারে ইন্টার মায়ামি

লিওনেল মেসি ক্লাবে যোগ দেওয়ার পর থেকে যেন একদমই বদলে গেছে ইন্টার মায়ামি। আর্জেন্টাইম মহাতারকার ছোঁয়ায় এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে মাঠ মাঠের বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল পরাশক্তিতে পরিণত হয়েছে ফ্লোরিডার ক্লাবটি। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছর ২০ কোটি ডলারেরও বেশি আয় করার সম্ভাবনা দেখছে তারা।

গত বছরের জুনে পিএসজি ছেড়ে মায়ামিতে যোগ দেন মেসি। দলকে যোগ দিয়েই লিগস কাপ জিতিয়ে ক্লাবকে প্রথমবারের মতো কোনো শিরোপা জেতান তিনি। শুধু তাই নয়, মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) যোগ দেওয়ার পর থেকে দেশটির ফুটবলেও ব্যাপক পরিবর্তন আনেন আটবারের ব্যালন ডিঅরজয়ী এই তারকা। তার পায়ের জাদু দেখার জন্য ঘরের মাঠের পাশাপাশি প্রতিপক্ষের গ্যালারিও কানায় কানায় পূর্ণ হচ্ছে নিয়মিত।

দর্শকদের আগ্রহ বাড়ার বাণিজ্যিকভাবে সবচেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে মেসির ক্লাব মায়ামি। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের আগমনে ক্লাবটি তাদের প্রত্যাশার চেয়েও বেশি আয় করেছে বলে জানান ইন্টার মায়ামির জেনারেল ডিরেক্টর হাভিয়ের আসেনসি।

মেসি আসার পর আমাদের প্রত্যাশিত আয় কোটি ডলার থেকে বেড়ে এখন ১২ কোটি ৫০ লাখ থেকে ১৩ কোটি ডলারে পৌঁছে গেছে। বছর আশা করি আমরা ২০ কোটি ডলারের বেশি আয় করতে পারব।

যুক্তরাষ্ট্রে মেসি পা দেওয়ার পর থেকে দর্শকদের পাশাপাশি স্পনসরদেরও আগ্রহের কেন্দ্র এখন মায়ামি। এরই মধ্যে অ্যাপল, অ্যাডিডাস, হাইনিকেন, রয়্যাল ক্যারিবিয়ানসহ বেশ কিছু বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে ক্লাবটি। সাম্প্রতি অর্থ লেনদেনের বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান ভিসাও যুক্ত হয়েছে মায়ামির সঙ্গে।

শুধু তাই নয়, মেসির ছোঁয়ায় মায়ামির টিকিট বিক্রি, মার্চেন্ডাইজিংসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও আমূল পরিবর্তন এসেছে বলে জানান আসেনসি। মেসির কারণে ইন্টার মায়ামি আয়ের দিক থেকে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, এখন ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোকেও টেক্কা দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আমি বার্সেলোনায় ১১ বছর ছিলাম। আমি সেখানে প্রধান বাণিজ্যিক অফিসার হিসেবে কাজ করেছি। লিও (মেসি) যখন খেলোয়াড় হিসেবে ছিল, তখনও আমি সেখানে ছিলাম। ইন্টার মায়ামি প্রাক্‌–মৌসুম সফরে যে আয় করেছে, তা অন্যান্য পেশাদার ফুটবল ক্লাব যে আয় করে তার চেয়ে বেশি।

মন্তব্য করুন: