পালমারের নৈপুণ্যে পিএসজিকে উড়িয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ চেলসির
১৪ জুলাই ২০২৫

দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে পিএসজিকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে চেলসি। প্রথমার্ধেই দুটি গোল করে ও জোয়াও পেদ্রোর গোল বানিয়ে দিয়ে ম্যাচের নায়ক ইংলিশ মিডফিল্ডার কোল পালমার।
নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রোববার গভীর রাতে হওয়া ফাইনালে ইউরোপিয়ান ও ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের একপ্রকার বিধ্বস্ত করে ছেড়েছে চেলসি। শেষ দিকে ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া পিএসজি ঘুরে দাঁড়ানোরও সুযোগ পায়নি।
সারাবছরের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে ফাইনালে পিএসজিকেই ফেভারিট ধরা হয়েছিল। অন্যদিকে, ইউরোপের তৃতীয় স্তরের প্রতিযোগিতা কনফারেন্স লিগ জিতে এবং প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষ চারে থেকে মৌসুম শেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে আসে চেলসি।
ম্যাচের আগে চেলসি কোচ এনসো মারেস্কা জানিয়েছিলেন, প্রতিপক্ষ কোচ লুইস এনরিকের বিপক্ষে ম্যাচটি হবে ‘দাবার খেলা’। ম্যাচে দেখা গেল, দ্রুত ‘চেকমেট’ করে ফেললেন ইতালিয়ান এই কোচ।
পুরোনো ফরম্যাটে ২০২১ সালের ক্লাব বিশ্বকাপ জেতা চেলসি এগিয়ে যায় ২২তম মিনিটে। পিএসজির ফুলব্যাক নুনো মেন্দেসের ভুলে বল পেয়ে যান মালো গুসতো। তার প্রথম শট মেন্দেস প্রতিহত করলে ফিরতি বলে তিনি পাস বাড়ান মাঝখানে থাকা পালমারকে, যিনি ঠান্ডা মাথায় বাঁ পোস্ট দিয়ে বল জালে পাঠান।
কুলিং ব্রেকের পরই ৩০তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পালমার। লেভি কলউইলের নিখুঁত থ্রু পাসে বল পেয়ে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে, নীচু শটে বল বাঁ কোনা দিয়ে জালে পাঠান।
এরপর ৪৩তম মিনিটের গোলে অবদান রাখেন পালমার নিজেই। দৌড়ে গিয়ে পাস বাড়ান পেদ্রোকে। ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড অফসাইড ফাঁকি দিয়ে এগিয়ে গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুম্মার মাথার ওপর দিয়ে বল চিপ করে জালে পাঠান।
পিএসজির দুর্দশা পূর্ণতা পায় ৮৩তম মিনিটে, যখন জোয়াও নেভেস চুল ধরে টান দেওয়ার অপরাধে লাল কার্ড দেখেন। এরপর ম্যাচ যত গড়িয়েছে, পিএসজির হতাশা তত বেড়েছে।
মন্তব্য করুন: