শততম টেস্টে শতক মুশফিকের

২০ নভেম্বর ২০২৫

শততম টেস্টে শতক মুশফিকের

৯৯ রানে অপরাজিত থেকে দিনের খেলা শেষ করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। ১৭ ঘণ্টা পর দ্বিতীয় দিন যখন ব্যাটিংয়ে নামলেন, প্রথম ওভারটি মেডেন খেললেন তিনি। পরের ওভারে পৌঁছে গেলেন ক্রিকেটের অভিজাত ক্লাবে। ইতিহাসের একাদশ ক্রিকেটার হিসেবে নিজের শততম টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।

বৃহস্পতিবার মিরপুর শের--বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় শেষ টেস্টের দ্বিতীয় দিন জর্ডান নিলের বল লেগ সাইডে ঠেলে দিয়ে দৌড়ে এক রান নিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মুশফিক।

ক্যারিয়ারের ১৩তম শতক হাঁকাতে ডানহাতি এই ব্যাটার খেলেন ১৯৫ বল, চার মারেন ৫টি। মুমিনুল হকের সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিকও হলেন মুশফিক।

তবে সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি তিনি। বাঁহাতি স্পিনার ম্যাথিউ হাম্ফ্রিসের বলে দ্বিতীয় স্লিপে অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবার্নি দুর্দান্ত ক্যাচ নিলে ২১৪ বলে চারে ১০৬ রানে থামে তার ইনিংসটি।

মুশফিকের আগে নিজের শততম টেস্ট খেলতে নেমে সবশেষ শতক হাঁকান ডেভিড ওয়ার্নার। ২০২২ সালে মেলবোর্ন টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০০ রান করেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি এই ওপেনার।

বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে একশ টেস্ট খেলার কীর্তি গড়েন ইংল্যান্ডের কলিন কাউড্রে। ১৯৬৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাইলফলক স্পর্শ করার ম্যাচেই হাঁকান সেঞ্চুরি। এরপর শততম টেস্টে সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া ক্রিকেটারদের এই ক্লাবে একে একে যোগ দেন পাকিস্তানের জাভেদ মিয়াঁদাদ (১৯৮৯), ওয়েস্ট ইন্ডিজের গর্ডন গ্রিনিজ (১৯৯০), ইংল্যান্ডের অ্যালেক স্টুয়ার্ট (২০০০), পাকিস্তানের ইনজামাম-উল-হক (২০০৫), অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং (২০০৬), দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রায়েম স্মিথ (২০১২) হাশিম আমলা (২০১৭), ইংল্যান্ডের জো রুট (২০২১), ওয়ার্নার (২০২২) এবং সবশেষ মুশফিক (২০২৫)

এদের মধ্যে কেবল পন্টিং নিজের শততম টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি হাঁকান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিডনি টেস্টে প্রথম ইনিংসে ১২০ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন ডানহাতি এই ব্যাটার।

মন্তব্য করুন: