স্পিন নৈপুণ্যে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতল ভারত

১ ডিসেম্বর ২০২৩

স্পিন নৈপুণ্যে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতল ভারত

সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে ব্যাটাররা রান উৎসবে মেতে উঠলেও চতুর্থ ম্যাচে আলো ছড়িয়েছেন বোলাররা। স্পিনারদের নৈপুণ্যে অস্ট্রেলিয়াকে  ২০ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই টি-টুয়েন্টি সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে ভারত। 

রায়পুরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ওপেনারদের দারুণ শুরু পরেও চাপে পরে স্বাগতিকরা। কিন্তু রিংকু সিং ও উইকেটরক্ষক জিতেশ শর্মার ঝড়ো ইনিংসের ওপর ভর করে অস্ট্রেলিয়াকে ১৭৫ রানের লক্ষ্য দেয় ভারত। জবাবে ভারতীয় স্পিনারদের সামনে তেমন সুবিধাই করতে পারেনি কোনো ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে সফরকারীদের ইনিংস থামে ১৫৪ রানে।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্বভাবসুলভ ব্যাটিংয়ে ভারতীয় বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালানো শুরু করেন হেড। কিন্তু ম্যাচের চতুর্থ ওভারেই এই তাণ্ডবের লাগাম টেনে ধরতে শুরু করেন স্পিনাররা। ওভারের প্রথম বলেই জশ ফিলিপেকে (৮) বোল্ড করে এর শুরুটা করেন রবি বিষ্ণয়

পরের ওভারেই ১৬ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় ৩১ রান করা হেডকে ফিরিয়ে দলকে স্বস্তি এনে দেন অক্ষর প্যাটেল। ৮ রান করা অ্যারন হার্ডিকেও ফেরান বাঁহাতি এই স্পিনার।

৫২ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দলকে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন বেন ম্যাকডারমট ও টিম ডেভিড। কিন্তু দলীয় ৮৭ রানে ম্যাকডারমটকে (১৯) বোল্ড করে অজিদের সেই চেষ্টাও গুঁড়িয়ে দেন প্যাটেল। ডেভিড ফেরেন ১৯ রান করে।

ষষ্ঠ উইকেটে ম্যাথিউ শর্টকে সঙ্গে নিয়ে অধিনায়ক ম্যাথিউ ওয়েড দলকে জেতানোর চেষ্টা করলেও তা আর সফল হয়নি। ওয়েড অপরাজিত থাকেন ৩৬ রানে।

৮ ওভার বল করে ৩৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে স্বাগতিকদের জয় উপহার দেন দুই স্পিনার বিষ্ণয় ও প্যাটেল। ১৬ রানে ৩ উইকেট শিকারে ম্যাচসেরা প্যাটেল।

এর আগে এদিনও ভারতকে দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার যশস্বী জয়সোয়াল রুতুরাজ গায়কোয়াড়। পাওয়ার প্লের শেষ বলে ৩৭ করা জয়সোয়ালকে ফিরিয়ে ৫০ রানের এই জুটি ভাঙেন ডানহাতি পেসার হার্ডি।

বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি বিশ্বকাপের পর এই ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফেরা শ্রেয়াস আইয়ারের (৮) ইনিংস। দুই বল পরেই সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবও। দলের চাপ সামাল দিতে রিংকুকে নিয়ে জুটি করেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান গায়কোয়াড়। বোলারদের সামলে চতুর্থ উইকেটে ৪৮ রান যোগ করে ৩২ রান করে ফেরেন ডানহাতি এই ওপেনার।

পঞ্চম উইকেট জুটিতে অজি বোলারদের ওপর ঝড় তোলেন রিংকু ও জিতেশ। ৫৬ রানের এই জুটিতে জিতেশ করেন ১৯ বলে ৩ ছক্কায় ৩৫ রান। শেষ ওভারে ফিফটি থেকে ৪ রান দূরে থাকা রিংকু এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়লে ১৭৪ রানের বেশি করতে পারেনি ভারত। যা জয়ের জন্য যথেষ্টই ছিল।

 

মন্তব্য করুন: