হোয়াইটওয়াশ হয়ে সমর্থকদের কাছে লিটনের দুঃখপ্রকাশ

পাকিস্তানের কাছে তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজের সবকটিতে বিধ্বস্ত হয়ে হোয়াইটওয়াশড হয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় ম্যাচে শতরানের উদ্বোধনী জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত গড়েও পরের ব্যাটারদের ব্যর্থতায় দুইশ রান করতে পারেনি তারা। আর ম্যাচ শেষে হারের জন্য এবার বোলারদের দায় দেখছেন লিটন দাস। একই সঙ্গে সমর্থকদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

রোববার লাহোরে সিরিজের শেষ ম্যাচে টস হেরে তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমনের ৬৪ বলের উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ১১০ রান। এরপরের ব্যাটাররা আর বড় ইনিংস খেলতে না পারায় বাংলাদেশের ইনিংস থামে ৬ উইকেটে ১৯৬ রানে। শেষ ৫ ওভারে দলের খাতায় যোগ হয় কেবল ৪৬ রান।

গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে এই রান যে তেমন কিছুই না তা করে দেখিয়েছেন পাকিস্তানের ব্যাটাররা। মোহাম্মদ হারিসের অপরাজিত ১০৭ রানের ইনিংসে ১৬ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় পায় স্বাগতিকরা।

এর আগে প্রথম দুই টি-টুয়েন্টিতেই পাকিস্তানের দেওয়া ২০২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় তেমন কোনো লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচ হারের পর অধিনায়ক লিটন জানিয়েছিলেন, ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে দল হেরেছে। আর দ্বিতীয় ম্যাচে শরিফুল ইসলামের চোটের পাশাপাশি ব্যাটিংকেও দায় দেন তিনি।

তবে শেষ ম্যাচে দলের ব্যাটিংয়ে সন্তুষ্ট বাংলাদেশ অধিনায়ক। হারের জন্য এবার তিনি দায় দেন বোলিং ও ফিল্ডিয়ের । ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে লিটন বলেন, “গত দুই ম্যাচে আমরা ভালো বোলিং ও ফিল্ডিং করতে পারিনি। তবে এই উইকেটে আমরা ভালো ব্যাট করেছি। এটা ভালো উইকেট। তবে আমাদের শিখতে হবে কীভাবে ভিন্ন ব্যাটারদের বল করতে হয় এবং এটা নিয়ে কাজ করতে হবে।”

এই ম্যাচ দিয়ে এক বছর ও ১৮ ইনিংস পর টি-টুয়েন্টিতে ওপেনিংয়ে শতরানের জুটির দেখা পায় বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থ ইমন এদিন ৬৬ রান করেন। আরেক ওপেনার তানজিদ আবারও ভালো শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তিনি ফেরেন ৪২ রান করে।

তরুণ এই দুই ওপেনারের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট লিটন বলেন, “ইমন ও তানজিদ খুবই ভালো ব্যাট করেছে। বাকিদের অনেকেই দায়িত্ব নিয়েছে এবং ভালো কাজ করেছে।”

পাকিস্তানে খেলা হলেও তিন ম্যাচেই গ্যালারি থেকে দারুণ সমর্থন পায় বাংলাদেশ। তবে দলের পারফরম্যান্স আশানুরূপ না হওয়ায় সমর্থকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন অধিনায়ক লিটন।

“দর্শকরা অসাধারণ ছিল। তারা উভয় দলকেই সমর্থন দিয়েছে। কোনো ম্যাচ জিততে না পারায় বাংলাদেশ সমর্থকদের প্রতি আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। তবে আশা করছি আমরা ঘুরে দাঁড়াবো।”

জুনের মাঝামাঝি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কায় যাবে বাংলাদেশ। আগামী ১৭ জুন গল টেস্ট দিয়ে শুরু হবে সেই সফর।