টি-টুয়েন্টির নেতৃত্ব ছাড়ার কারণ জানালেন শান্ত

টি-টুয়েন্টির নেতৃত্ব ছাড়ার কারণ জানালেন শান্ত

গত বছর জাতীয় দলের তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে বছর শেষ না হতেই টি-টুয়েন্টি দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে তখন কিছু না জানা গেলেও এবার নিজেই এর কারণ খোলাসা করেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

শ্রীলঙ্কা সফরকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসে টি-টুয়েন্টি থেকে শান্তর নেতৃত্ব ছাড়ার বিষয়টি।

জবাবে বর্তমানে টেস্ট দলের দায়িত্বে থাকা এই ব্যাটার বলেন, আমি নিজে থেকেই ক্রিকেট বোর্ডকে জানিয়েছিলাম টি-টোয়েন্টিতে আর ক্যাপ্টেন্সি করতে চাই না। কারণ নিজের ব্যাটিংয়ে সময় দিতে চাচ্ছিলাম। এখন এত খেলা হচ্ছে, নিজেকে সময় দেওয়া কঠিন হচ্ছিল। বিশেষ করে নিজের ব্যাটিং। এজন্যই বোর্ডকে অনুরোধ করেছিলাম। যাতে ব্যাটিংয়ে বেশি মনোযোগ দিতে পারি। সামনে সুযোগ এলে ইনশাআল্লাহ আরও ভালোভাবে অবদান রাখতে পারব।

শান্ত টি-টুয়েন্টির দায়িত্ব ছাড়ার পর এই ফরম্যাটে নতুন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে লিটন দাসকে। এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের অধীনে ২০২৬ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলবে বাংলাদেশ। সতীর্থকে লম্বা সময়ের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম ফরম্যাটের দায়িত্ব দেওয়ায় সন্তুষ্ট শান্ত।

প্রত্যেক অধিনায়ক লম্বা সময় পেলে খুবই ভালো। যেটা আমি এর আগেও পেলাম, এক বছরের বেশি করলাম।তবে আমি মনে করি যে, এই জায়গায় যেই থাকুক, লম্বা সময় যদি দেওয়া হয়, একটা বিশ্বকাপ চিন্তা করে বা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চক্র চিন্তা করে, তাহলে পরিকল্পনা করা খুবই সহজ। আমার সঙ্গে বোর্ডের যতটুকু আলোচনা হয়েছে, আমি খুশি। যেভাবে আমাকে তাদের সময় দিয়েছেন, পরিকল্পনা দিয়েছেন… আমার জন্য পরিকল্পনা করা সহজ হয়ে গেছে।

টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে আগামী এক বছরের জন্য দায়িত্ব পাওয়ার বিষয়টি জানান শান্ত। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত এই ফরম্যাটের দায়িত্ব পেতে পারেন তিনি।

এই প্রসঙ্গে ২৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বলেন, আমার সঙ্গে বোর্ডের এখন পর্যন্ত যতটুকু কথা হয়েছে, তাদেরও চিন্তাভাবনা এরকমই। যাকেই দিবে। অবশ্যই একজন অধিনায়ক যদি লম্বা সময় পায় তাহলে সে ওইভাবে পরিকল্পনা করতে পারে- কাকে কোন সময়ে খেলাবে, কোন কন্ডিশনে কোন খেলোয়াড় খেলবে। তো এই জিনিসগুলো ক্যাপ্টেনের পক্ষে ঠিক করা সহজ হয়। ইতোমধ্যে টেস্টে একটা সুন্দর শুরু হয়েছে। আশা করব ওয়ানডেতেও এমন কোনো প্ল্যান করবে।

মন্তব্য করুন: