টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়লেন শান্ত

টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়লেন শান্ত

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের পর সাদা পোশাকের ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বাঁহাতি এই ব্যাটারের নেতৃত্বে মাঠে নামা সবশেষ টেস্টে ইনিংস ও ৭৮ রানে হেরেছে বাংলাদেশ।

শনিবার কলম্বো টেস্ট শেষে সংবাদ সম্মেলনে নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে শান্ত বলেন, “আমি আর টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে থাকতে চাই না।”

শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে আচমকাই ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব থেকে শান্তকে সরিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজকে দায়িত্ব দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এরপর থেকেই জোর গুঞ্জন ছিল, টেস্ট দলের নেতৃত্ব থেকে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়াতে পারেন শান্ত। এবার সেটিই হলো।

তবে নেতৃত্ব ছাড়ার বিষয়টি ব্যক্তিগত কোনো সিদ্ধান্ত নয় জানিয়ে ২৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বলেন, “দলের ভালোর জন্য আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি মনে করি এটাতে দলের ভালো কিছুই হবে।… ক্রিকেট বোর্ড হয়তো আলাদাভাবে চিন্তা করতে পারে এবং সেটার প্রতি পূর্ণ সম্মান আমার আছে।”

“তবে এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত যে, তিনটা ক্যাপ্টেন দলের জন্য কঠিন হবে। তাই পুরোটা দলের ভালোর জন্যই আমি এখান থেকে সরে আসছি।”

দায়িত্ব ছাড়ার বিষয়টি বিসিবির ক্রিকেট অপরেশন্স বিভাগকে কয়েকদিন আগে জানানো হয়েছে জানিয়ে শান্ত বলেন, “আমি আশা করব যে, কেউ যেন এটা না মনে করে যে, এটা আমি ব্যক্তিগত কিছু থেকে বা আমার মন খারাপ বা রাগ থেকে এটা করেছি। এটা আমি পরিষ্কার করলাম। এটা কেবল দলের ভালোর জন্যই এবং এখানে ব্যক্তিগত কিছু নেই।”

২০২৩ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ দিয়ে টেস্ট দলের দায়িত্ব পালন শুরু করেন শান্ত। তখন থেকে তার অধীনে ১৪টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে জয় পেয়েছে ৪টিতে, হার ৯টি এবং ড্র একটি।

অনন্ত ১০ টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছে এমন অধিনায়কের মধ্যে জয়ের দিক দিয়ে সবচেয়ে সফল শান্ত। তার অধীনে খেলা ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের হার ২৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ১৯ ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া সাকিব আল হাসানের অধীনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়ের হার ২১ দশমিক ০৫ শতাংশ।

দেশের টেস্ট ইতিহাসের সেরা সাফল্যও এসেছে শান্তর নেতৃত্বে। ২০২৪ সালের আগস্টে পাকিস্তানের মাটিতেই স্বাগতিকদের দুই ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশড করে বাংলাদেশ।

অধিনায়ক হিসেবেও ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন শান্ত। ২৬ ইনিংসে ৩৬ দশমিক ২৪ গড়ে তিনি ৯০৬ রান করেছেন। যখন অধিনায়ক ছিলেন না সে সময় তার ব্যাটিং গড় ছিল ২৯ দশমিক ৮৩। নেতৃত্বে থাকাকালীন তিনটি সেঞ্চুরির সঙ্গে দুটি ফিফটিও আছে বাঁহাতি এই ব্যাটারের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টে প্রথম বাংলাদেশি অধিনায়ক হিসেবে এক ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরির কীর্তিও গড়েন তিনি।

[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে।]

মন্তব্য করুন: