শ্রীলঙ্কাকে গুঁড়িয়ে সিরিজে ফিরল বাংলাদেশ
১৩ জুলাই ২০২৫

শুরুর ধাক্কা সামলে লিটন দাস ও শামীম হোসেন পাটোয়ারীর ব্যাটে লড়াই করার মতো সংগ্রহ পেয়েছিল বাংলাদেশ। পরে বোলারদের নৈপুণ্যে শ্রীলঙ্কাকে ম্যাচে দাঁড়াতেই দেয়নি সফরকারীরা। ৮৩ রানের দুর্দান্ত জয়ে তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজে সমতায় ফিরেছে লিটন দাসের দল।
রোববার ডাম্বুলায় সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১৭৭ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। জবাবে ২৮ বল আগে ৯৪ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
রানের ব্যবধানে এটি টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়। রিশাদ হোসেনের শিকার ৩ উইকেট। শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের শিকার দুটি করে উইকেট।
এর আগে লিটন-শামীমের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে শেষ ছয় ওভারে দলের খাতায় যোগ হয় ৭৬ রান। এক বছর ও ১৩ ইনিংস পর টি-টুয়েন্টিতে ফিফটির দেখা পান লিটন। ম্যাচসেরার পুরস্কার পাওয়া বাংলাদেশ অধিনায়ক ৫০ বলে ৫ ছক্কা ও ১ চারে করেন ৭৬ রান।
লক্ষ্য তাড়ায় এদিনও লঙ্কানদের আগ্রাসী শুরু এনে দেন পাতুম নিসাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে পয়েন্ট অঞ্চল থেকে শামীমের সরাসরি থ্রোতে মেন্ডিস (৮) রানআউটে কাটা পড়লে থামে ১৯ রানের উদ্বোধনী জুটি।
পরের ওভারে কুশল পেরেরাকে (০) সাজঘরের পথ দেখান দলে ফেরা শরিফুল। এক ওভার পর আভিষ্কা ফার্নান্দোকেও (২) তুলে নেন বাঁহাতি এই পেসার। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে অধিনায়ক চারিত আসালাঙ্কাকে (৫) কট বিহাইন্ড করিয়ে স্বাগতিকদের চাপ আরও বাড়িয়ে দেন সাইফউদ্দিন।
প্রথম ছয় ওভারে ৩৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় লঙ্কানরা। পঞ্চম উইকেটে দাসুন শানাকাকে নিয়ে জুটি বেঁধে দলকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেন নিসাঙ্কা। কিন্তু একাদশ ওভারে তাকে (৩২) স্টাম্পিং করিয়ে ৪১ রানের এই জুটি ভেঙে সেই আশা শেষ করে দেন রিশাদ। এক বল পর চামিকা করুণারত্নেকে ফিরতি ক্যাচে তুলে নেন এই লেগ স্পিনার। পরের ওভারে শানাকাকে (২০) ফিরিয়ে স্বাগতিকদের জয়ের আশা পুরোপুরি শেষ করে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৫ ওভার ২ বলে নিজের তৃতীয় শিকার ধরে লঙ্কান ইনিংস গুটিয়ে দেন রিশাদ।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম দুই ওভারে সাজঘরের পথ দেখেন দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন (০) ও তানজিদ হাসান তামিম (৫)। ৭ রানের ভেতর দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়া দলের হাল ধরতে হৃদয়কে নিয়ে জুটি বাঁধেন লিটন। প্রথম ছয় ওভারে ২ ছক্কা ও ১ চারে দলের খাতা যোগ হয় ৩৯ রান।
পাওয়ারপ্লে শেষে কিছুটা দ্রুত রান তোলায় মনোযোগ দেন লিটন-হৃদয়। তবে ১২তম ওভারে প্রথম বলে ২৫ বলে ৩১ রান করা হৃদয়কে তুলে নিয়ে ৬৯ রানের জুটি ভাঙেন বিনুরা ফার্নান্দো। চতুর্থ বলে স্কুপ করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মিরাজ (১)।
এরপর লিটন-শামীমের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে রানের গতি বাড়ে বাংলাদেশের। ৩৯তম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ক্যারিয়ারের ১২তম ফিফটি তুলে নেন লিটন। এই ফরম্যাটে তার সবশেষ ফিফটি আসে ২০২৪ সালের জুনে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
ব্যক্তিগত ৫৬ রানে মহীশ তিকশানার কাছে জীবন পেয়ে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন লিটন। অপর প্রান্তে বোলারদের ওপর ছড়ি ঘোরাতে থাকেন শামীমও। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে লিটনকে ফিরিয়ে ৩৯ বলে ৭৭ রানের জুটি ভাঙেন তিকশানা। শেষ ওভারে পরপর দুই বলে রানআউট হন জাকের আলী (৩) ও ২৭ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪৮ রান করা শামীম।
মন্তব্য করুন: