পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে দ্বিতীয় জয় ভারতের
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

শুরুর ব্যাটারদের ব্যর্থতার পর শেষ দিকে শাহিন শাহ আফ্রিদির নৈপুণ্যে কিছুটা লড়াই করার মতো সংগ্রহ পেয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু শক্তিশালী ভারতীয় ব্যাটিং লাইন-আপের সামনে কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারল না বোলাররা। ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিজেদের দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে সূর্যকুমার যাদবের দল।
রোববার দুবাইয়ে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১২৭ রানে তোলে পাকিস্তান। জবাবে ২৫ বল আগে লক্ষ্যে পৌঁছায় ভারত।
ম্যাচ শেষে দু’দলের খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফের সদস্যরা হাত না মিলিয়েই মাঠ ছাড়েন। এর আগে টসের পরও হাত মেলাননি দু’দলের অধিনায়করা।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় ভারতকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিল। তবে দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে গিলকে (১০) স্টাম্পিং করিয়ে ২২ রানের এই জুটি ভাঙেন সাইম আইয়ুব। কিন্তু সঙ্গীর বিদায়ের পরও আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট চালিয়ে যান অভিষেক। ১৩ বলে ৩১ রান করা বাঁহাতি এই ওপেনারকেও ফেরান সাইম। প্রথম ৬ ওভারের ভেতর দুই ওপেনারকে হারানো ভারত ৬১ রান তোলে।
পাওয়ারপ্লে শেষে তাদের রানের লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা করেন স্পিনাররা। তৃতীয় উইকেটে সূর্যকুমার ও তিলক ভার্মার অর্ধশত রানের জুটি গড়লেও রানের গতি কমে আসে। তিলককে (৩১) ফিরিয়ে ৫২ বলে ৫৬ রানের এই জুটিও ভাঙেন সাইম। এরপর আর কোনো উইকেট হারায়নি ভারত। ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জয় এনে দেন অধিনায়ক সূর্যকুমার। ডানহাতি এই ব্যাটার অপরাজিত থাকেন ৪৭ রানে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান হার্দিক পান্ডিয়ার বলে শুরুতেই হারায় সাইমের উইকেট। আগের ম্যাচের মতো এদিনও প্রথম বলে শূন্য রানে আউট হন বাঁহাতি এই ব্যাটার। পরের ওভারে যশপ্রীত বুমরাহর শিকার হয়ে সাজঘরের পথ দেখেন গত ম্যাচে ফিফটি হাঁকানো মোহাম্মদ হারিস (৩)।
তৃতীয় উইকেটে ফখর জামানকে নিয়ে সাহিবজাদা ফারহান দলের বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও বেশি দূর যেতে পারেননি। ফখরকে (১৭) ফিরিয়ে ৩৯ রানের এই জুটি ভাঙেন অক্ষর প্যাটেল। নিজের পরের ওভারে ধুঁকতে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগাকেও (৩) তুলে নেন এই বাঁহাতি স্পিনার।
১৩তম ওভারে পরপর দুই বলে দুই উইকেট তুলে নেন কুলদীপ যাদব। এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকা ওপেনার ফারহানকেও তুলে নেন এই রিস্ট স্পিনার। ইনিংস সেরা ৪০ রান করা ফারহান ফেরার পর একশর আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু ৪ ছক্কায় ১৬ বলে ৩৩ রানের অপরাজিত ইনিংস সেই শঙ্কা কাটিয়ে লড়াই করার মতো পুঁজি এনে দেন শাহিন।
১৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন কুলদীপ। অক্ষরের শিকার দুটি, বরুণ চক্রবর্তী নেন এক উইকেট।
[বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সংযোজন করা হয়েছে।]
মন্তব্য করুন: