সতীর্থকে চড় মারার ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন এভারটনের গেয়ি
২৫ নভেম্বর ২০২৫
ফুটবল মাঠে লাল কার্ডের ঘটনা অহরহ দেখা যায়। কিন্তু তাই বলে নিজ সতীর্থকে চড় মেরে! এমন ঘটনাই ঘটেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-এভারটন ম্যাচে। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে জয়খরা কাটানোর ম্যাচে সতীর্থ মাইকেল কিনকে চড় মারার ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন ইদ্রিসা গেয়ি। আর নিজ খেলোয়াড়দের মধ্যে এমন ঘটনাকে স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন কোচ ডেভিড ময়েসও।
সোমবার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ১০ জনের দল নিয়ে ইউনাইটেডকে ১-০ গোলে হারায় এভারটন। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে এটি তাদের ১২ বছর পর জয়। সবশেষ ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে এই মাঠে জিতেছিল দলটি।
ম্যাচের ১৩তম মিনিটে ডিফেন্ডার কিনকে চড় মারেন গেয়ি। তখনই এই মিডফিল্ডারকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। এর আগে অবশ্য এই মিডফিল্ডারকে ধাক্কা দিয়েছিলেন কিন। পরে এভারটন গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড গেয়িকে আটকিয়ে শান্ত করেন।
প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে সতীর্থকে আঘাত করে কোনো খেলোয়াড়ের মাঠছাড়া হওয়া তৃতীয় ঘটনা এটি। সবশেষ ২০০৮ সালে স্টোক সিটির রিকার্ডো ফুলার ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে অ্যান্ডি গ্রিফিনকে চড় মেরেছিলেন।
ম্যাচ শেষে ময়েস জানান, সেনেগালের হয়ে খেলা গেয়ি ইতোমধ্যে ক্ষমা চেয়েছেন।
“ফুটবলে এসব জিনিস ঘটে, আমি মনে করি রেফারি হয়তো একটু বেশি সময় নিয়ে ভাবতে পারতেন।”
“আমাকে বলা হচ্ছে নিয়ম হলো, যদি আপনি নিজের খেলোয়াড়কে চড় মারেন বা কোনোভাবে হাত তোলেন, তাহলে আপনি সমস্যায় পড়তে পারেন। কিন্তু জানেন তো, এর আরেকটা দিক আছে।
“আমি আসলে পছন্দ করি যখন আমার খেলোয়াড়রা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে কিংবা রাগ দেখায়। কারণ কেউ খারাপ পাস দিয়েছে বা ঠিকমতো কাজ করেনি। যদি আপনি একটি জেতার মানসিকতা সম্পন্ন দল চান, যে দৃঢ়তা ও কঠোরতায় আজকের ফলটা পেয়েছি, তাহলে এমন প্রতিক্রিয়া দেখানো খেলোয়াড় থাকা লাগবেই।”
এই ঘটনার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে ক্ষমা চেয়ে গেয়ি লেখেন, “আমি প্রথমে আমার সতীর্থ মাইকেল কিনের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আমার প্রতিক্রিয়ার জন্য পুরোপুরি আমি দায়ী।”
“আমি আমার সতীর্থ, স্টাফ, সমর্থক এবং ক্লাবের কাছেও ক্ষমা চাইছি। যা ঘটেছে তা আমি যে মানুষ, বা যে মূল্যবোধে বিশ্বাস করি, তার প্রতিফলন নয়। আবেগ উঁচুতে উঠতে পারে, কিন্তু এমন আচরণের কোনো যুক্তি নেই। আমি নিশ্চিত করব যেন এমন আর কখনও না হয়।”
এই জয়ে ১০ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ১১ নম্বরে উঠে এসেছে এভারটন।















মন্তব্য করুন: