আলভেসের শাস্তি কম হয়েছে, বললেন তার সাবেক ব্রাজিল সতীর্থ

২৮ মার্চ ২০২৪

আলভেসের শাস্তি কম হয়েছে, বললেন তার সাবেক ব্রাজিল সতীর্থ

দুই বছর আগে বার্সেলোনার নৈশক্লাবে এক নারীকে ধর্ষণের দায়ে ব্রাজিলের সাবেক তারকা ফুটবলার দানি আলভেস এখন জেলে আছেন। আদালত তাকে সাড়ে ৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের চুড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত আলভেস জামিন পেয়েছেন। এদিকে ধর্ষণের মতো একটা জঘন্য অপরাধের জন্য এই শাস্তি যথেষ্ট হয়নি বলে মনে করেন আলভেসের জাতীয় দলের সাবেক সতীর্থ ফেলিপে মেলো।

শুধু আলভেসই নয়, ইতালিতে একই অপকর্ম করে দেশে পালিয়ে এসেছিলেন ব্রাজিলের আরেক সাবেক তারকা রবিনিও। ইতালির আদালত তাকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে ব্রাজিল সরকারকে অনুরোধ করেছিল সাজা কার্যকর করার। গত ২০ মার্চ ব্রাসিলিয়ার আদালত রায় দেন রবিনিওকে ব্রাজিলেই সাজা খাটতে হবে। এরপর গত শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।

সাবেক দুই সতীর্থের এই দুই সতীর্থের সাজা আরও কঠোর হওয়া উচিত ছিল বলে মনেকরেন ফেলিপে মেলো, “সাজার মেয়াদটা কম হয়েছে। দানি আলভেস তো এরই মধ্যে জেল থেকে বের হয়েছে। কোনো নারীর সঙ্গে এমনকিছু করার পর কেউ এমন (সুবিধা) কিছু পেতে পারে বলে আমি মনে করি না। একবার মেয়েটির কথা ভাবুন। সেও তো কোনো বাবা–মায়েরই মেয়ে...সন্তানদের শিক্ষিত করে তোলার দায়িত্ব আমাদের, আর এটাও শিক্ষারই অংশ। এসব যেন না ঘটে সে জন্য ছেলেমেয়েদের শিক্ষিত করে তুলতে হবে।”

ক্রুদ্ধ কণ্ঠে ‘গ্লোবোস্পোর্ত’কে ফেলিপে মেলো আরও বলেন, “আমার ১৫ বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। ওরা যদি আমার মেয়ের সঙ্গে এটা করত, তাহলে আমার মনে হয় না এখানে বসে সাক্ষাৎকার দিতাম। আমার মতে, মানুষকে সম্মান করতে হবে। নারীদের সম্মান করতে হবে। পুরুষদেরও সম্মান করতে হবে। তাদের আর ফুটবল খেলার সুযোগ নেই। কিন্তু যেটাই ঘটুক...তারা নিজেরা যেন নিজেদের পথটা রুদ্ধ না করে। কারণ, তারা আইন অনুযায়ীই সাজা খাটছে।”

২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর বার্সেলোনার 'সাটন' নামে একটি পানশালার ভিআইপি সেকশনের বাথরুমে আলভেস একজন তরুণীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই তরুণী পুলিশে অভিযোগ করার তিন সপ্তাহ পর আলভেসকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর থেকেই তিনি জেলেই ছিলেন। তার কারাদণ্ডের রায়ের পর আলভেস নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আপিল করেছেন। অন্যদিকে প্রসিকিউশন সাজার মেয়াদ বাড়িয়ে সাড়ে ৯ বছর করার জন্য আপিল করেছে।

অন্যদিকে ২০১৩ সালে ইতালিয়ান ক্লাব এসি মিলানে খেলার সময় মিলানের এক নৈশ ক্লাবে আলবেনিয়ান এক নারীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে রবিনিওসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ২০১৭ সালে রবিনিওকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেয় ইতালির আদালত। কিন্তু বাইরের কোনো দেশে অপরাধ সংঘটনের পর সেই দেশের বিচারিক কর্তৃপক্ষের কাছে নিজেদের নাগরিককে হস্তান্তর করে না ব্রাজিল। ২০২২ সালে এই শাস্তি অনুমোদন করে ব্রাজিল সরকারকে তা কার্যকর করার অনুরোধ জানিয়েছিল ইতালি। গত ২০ মার্চ ব্রাজিলের আদালত জানায়, দেশেই সাজা খাটতে হবে রবিনিওকে। এর একদিন পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মন্তব্য করুন: