মুসিয়ালার চোটে ক্ষুব্ধ বায়ার্ন কোচ

মুসিয়ালার চোটে ক্ষুব্ধ বায়ার্ন কোচ

ক্লাব বিশ্বকাপ কোয়ার্টার-ফাইনালে পিএসজির বিপক্ষে ম্যাচে গোড়ালির চোটে পড়েছেন বায়ার্ন মিউনিখ তারকা জামাল মুসিয়ালা। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে প্রতিপক্ষ গোলকিপার জানলুইজি দেন্নারুম্মার সঙ্গে সংঘর্ষের পর স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন তিনি। শিষ্যের এমন চোটে ম্যাচ শেষে ক্ষোভ ঝাড়েন বায়ার্ন কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানি। অন্যদিকে দেন্নারুম্মার খেলার ধরন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ার।

শনিবার আটালান্টায় সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নয় জনের পিএসজির কাছে ২-০ গোলে হারে বায়ার্ন।

পিএসজির বক্সের মধ্যে ডিফেন্ডার উইলিয়াম পাচোর সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে ছিলেন মুসিয়ালা। এমন সময় দেন্নারুম্মা ঝাপিয়ে বল নিতে গেলে জার্মান মিডফিল্ডারের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এতে তার গোড়ালির ওপর পড়ে যান পিএসজি গোলরক্ষক।

এই ঘটনায় ২২ বছর বয়সী মুসিয়ালার বাঁ পায়ের গোড়ালি বেশ বাজেভাবে বেঁকে যায়। চোটের ভয়াবহতা দেখে মাথায় হাত দিয়ে মাটিতে বসে পড়েন দেন্নারুম্মা। দুদলের খেলোয়াড়দেরও হতাশ দেখায়।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি বলেন, “আমি খুব কমই এমন বিরক্ত হয়েছি বিরতির সময়। এটা আমার খেলোয়াড়দের ওপর না। জীবনে অনেক কিছুই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু ওদের জন্য এটাই জীবন। জামাল এ খেলাটার জন্য বাঁচে। চোট থেকে ফিরেই সে আবার এমনভাবে পড়ল। নিজের অসহায় লাগছিল।

জার্মান সংবাদমাধ্যম বিল্ড জানায়, চোট কাটিয়ে মুসিয়ালার মাঠে ফিরতে প্রায় পাঁচ মাস সময় লাগতে পারে।

বায়ার্ন অধিনায়ক নয়ার মনে করেন, দেন্নারুম্মার ডাইভটি বিপজ্জনক ছিল। পিএসজি গোলরক্ষকের জায়গায় তিনি থাকলে বিষয়টি অন্যভাবে সামাল দিতেন।

এটা আপনার মানতেই হবে প্রতিপক্ষ চোটে পড়তে পারে। এটা তার সতীর্থও হতে পারত। আমি তার কাছে গিয়ে বলেছিলাম, ‘তুমি কি ওখানে যাবে না? জামাল ওখানে শুয়ে আছে, হয়তো হাসপাতালে থাকবে, গুরুতর ইনজুরি। আমার মতে, অন্ততপক্ষে তোমার সেখানে যাওয়া উচিত এবং তার সেরে ওঠার জন্য শুভকামনা জানিয়ে দুঃখপ্রকাশ করা উচিত

পরে সে জামালের কাছে গিয়েছিল আমি থাকলে অন্যভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতাম।

ম্যাচ শেষে ইনস্টাগ্রামে দেন্নারুম্মা লেখেন, “তোমার জন্য আমার সব প্রার্থনা ও শুভকামনা রইল জামাল।

মন্তব্য করুন:

Add