ভগ্নহৃদয়ে পিএসজি ছাড়ছেন দোন্নারুম্মা

১৩ আগস্ট ২০২৫

ভগ্নহৃদয়ে পিএসজি ছাড়ছেন দোন্নারুম্মা

গত মৌসুমে পিএসজির প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পাশাপাশি ক্লাবের ইতিহাসের প্রথমবারের মতো ট্রেবল জয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন জানলুইজি দোন্নারুমা। কিন্তু তাকে ছাড়াই টটনাম হটস্পারের বিপক্ষে উয়েফা সুপার কাপের স্কোয়াড ঘোষণার পর ফরাসি ক্লাবটি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইতালিয়ান এই গোলরক্ষক।

মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে বিদায়ী বার্তায় ২৬ বছর বয়সী এই ফুটবলার লেখেন, “প্যারিসের বিশেষ ভক্তদের উদ্দেশে বলছি, মাঠে ও মাঠের বাইরে নিজের জায়গা অর্জন করতে এবং পিএসজির গোল রক্ষা করতে প্রথম দিন থেকেই আমি সবকিছু দিয়েছি।

দুঃখজনকভাবে, কেউ একজন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আমি আর দলের অংশ হতে পারব না এবং সাফল্যে অবদান রাখতে পারব না। আমি হতাশ এবং মনঃক্ষুণ্ন।

গত কয়েকদিন ধরে হঠাৎ করেই পিএসজিতে দোন্নারুম্মার ভবিষ্যৎ নিয়ে গুঞ্জন ওঠে। গত শনিবার লিল থেকে ফরাসি গোলরক্ষক লুকাস শেভালিয়েকে দলে নেয় ক্লাবটি। ফলে প্যারিসে দোন্নারুম্মার ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।

সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে ইএসপিএন জানায়, শেভালিয়েকে দলে নেওয়ার পর দোন্নারুম্মাকে আর রাখতে চায় না পিএসজি। এই ইতালিয়ানের জন্য চেলসি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বা ইন্টার মিলান থেকে প্রস্তাব আশা করছে তারা।

সূত্রের মতে, পিএসজির সঙ্গে চুক্তির এক বছর বাকি থাকাতে ক্লাবের সঙ্গে তা নবায়ন করতে চেয়েছিলেন দোন্নারুম্মা। কিন্তু দুপক্ষ কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি।

২০২১ সালে এসি মিলান থেকে পিএসজিতে পাড়ি জমানো দোন্নারুম্মা গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পথে লিভারপুল, অ্যাস্টন ভিলা ও আর্সেনালের বিপক্ষে গোলপোস্টের নিচে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন।

পিএসজির মাঠে শেষবারের মতো দর্শকদের সামনে থেকে বিদায় নেওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়ে দোন্নারুম্মা আরও লেখেন, “আশা করি পার্ক দে প্রিন্সেসে শেষবারের মতো ভক্তদের চোখে চোখ রেখে বিদায় জানাতে পারব। যদি তা না হয়, তবে জেনে রাখুন আপনাদের ভালোবাসা ও সমর্থন আমার কাছে পৃথিবীর সবকিছু এবং এটা আমি কখনও ভুলব না। আমি সবসময় মনে রাখব সব অনুভূতি, জাদুকরী রাতগুলো আর আপনাদের, যারা আমাকে আপন করে নিয়েছেন।

প্রতিটি লড়াই, প্রতিটি হাসি ও প্রতিটি মুহূর্তের জন্য আমার সতীর্থদের, যারা আমার দ্বিতীয় পরিবার, তাদের ধন্যবাদ জানাই। তোমরা সবসময় আমার ভাই হয়ে থাকবে। এই ক্লাবের হয়ে খেলা এবং এই শহরে থাকা ছিল বিরাট এক সম্মানের। ধন্যবাদ, প্যারিস।

মন্তব্য করুন: