একুয়েডরের বিপক্ষে খেলবেন না মেসি
৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জোড়া গোল করে আর্জেন্টিনাকে জিতিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে দেশের মাটিতে নিজের ‘শেষ ম্যাচ’ খেলে ফেলেছেন লিওনেল মেসি। তবে একুয়েডরের মাঠে বাছাইপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে খেলছেন না এই তারকা ফুটবলার। কোচের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি জানিয়েছেন মেসি নিজেই।
বুয়েনোস আইরেসে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে শেষ হওয়া ম্যাচে ভেনেজুয়েলাকে ৩-০ গোলে হারায় আর্জেন্টিনা।
ম্যাচের আগেই মেসি জানিয়েছিলেন দেশের মাটিতে এটিই হাতে যাচ্ছে তার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচ। আগামী বছর বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে আর কোনো ম্যাচ খেলার সম্ভাবনাও নেই আর্জেন্টিনার। ফলে ঘরের মাঠে আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মহাতারকার শেষ ম্যাচ দেখতে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল এস্তাদিও মনুমেন্তাল। উপস্থিত ছিলেন মেসির পরিবারের সদস্যরাও। জাতীয় সঙ্গীতের সময় তিন ছেলেকে নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
ম্যাচ শেষে আবেগাপ্লুত মেসি বলেন, “অনেক আবেগ কাজ করছে, আমি এই মাঠে অনেক কিছু অনুভব করেছি। আর্জেন্টিনায় আমাদের মানুষদের সঙ্গে খেলা সবসময় আনন্দের। আমরা বহু বছর ধরে ম্যাচের পর ম্যাচ এটা উপভোগ করেছি। আমি খুব খুশি। এভাবে শেষ করতে পারা সবসময় আমার স্বপ্ন ছিল।”
আর্জেন্টিনার সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা মেসির ২০০৬ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে বিশ্বকাপে অভিষেক হয়। আর্জেন্টিনাকে ২০১৪ ও ২০২২ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলতে বড় অবদান রাখেন তিনি। সবশেষ কাতার আসরে দেশের ৩৬ বছরের বিশ্বকাপ ট্রফির খরাও কাটে তার হাত ধরেই।
বাংলাদেশ সময় আগামী বুধবার ভোর ৫টায় একুয়েডরের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট থেকে সেরে উঠতে এই ম্যাচে খেলবেন না বলে জানান মেসি।
“আমি কোচ স্কালোনির সঙ্গে কথা বলেছি, আর তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমি বিশ্রামে থাকব, একুয়েডর সফরে যাব না। কারণ আমি হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট থেকে সেরে উঠছি। আমরা ভ্রমণ এড়িয়ে সামনে যা আসছে তার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত থাকতে চাই। আমাদের লক্ষ্য এমএলএস জেতা। অক্টোবর মাসে একটি প্রীতি ম্যাচ আছে, তখন আবার মিলিত হব।”
মন্তব্য করুন: