ফুটবলার কেনার খরচে ধাক্কা খেল বার্সেলোনা

১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ফুটবলার কেনার খরচে ধাক্কা খেল বার্সেলোনা

এই মৌসুমে খরচের জন্য স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনাকে ২৯ কোটি ডলারের সীমা বেঁধে দিয়েছে লা লিগা কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার দেওয়া সিদ্ধান্তে নতুন খেলোয়াড় কেনায় ধাক্কা খেল লিগ চ্যাম্পিয়নরা।

খেলোয়াড়দের বেতন দলবদল চুক্তিতে অতিরিক্ত খরচ করা থেকে ক্লাবগুলোকে বিরত রাখতে স্পেনের শীর্ষ লিগের দলগুলোর ব্যয়ের হিসেব কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

আগে বার্সেলোনার এই সীমা ছিল ৬৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার। ভবিষ্যৎ টিভি সত্ত্ব বিক্রি অন্যান্য উৎস থেকে আয়ের হিসেবে তাদের এই খরচের সীমা নির্ধারণ করা হয়।

স্পেনের গণমাধ্যমের মতে, বেতন বাবদ বর্তমানে কাতালান ক্লাবটির খরচ প্রায় ৪২ কোটি ৯০ লাখ ডলার।

লিগের নির্ধারিত ব্যয়ের সীমার অতিরিক্ত খরচ করায় শাস্তির মুখোমুখি হয় বার্সেলোনা। লিগের নিয়ম মতে, নতুন বেঁধে দেওয়া সীমার মধ্যে আসার আগ পর্যন্ত বার্সেলোনা দলের উন্নয়নে আয়ের প্রায় ৫০ শতাংশ খরচ করতে পারবে।  

বর্তমান অবস্থায় আগামী জানুয়ারির দলবদলে উল্লেখযোগ্য কোনো খেলোয়াড় কিনতে পারবে না বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। তবে ব্যয় কমাতে পারলে আগামী গ্রীষ্মের দলবদলে খেলোয়াড় কিনতে পারবে তারা। 

গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগান ২০২৮ সাল পর্যন্ত ক্লাবের সঙ্গে থাকার নতুন চুক্তি করায় বার্সেলোনাকে নতুন ফুটবলার দলে ভেড়ানোর সুযোগ পায়। ফলে ধারে জোয়াও কানসেলো জোয়াও ফেলিক্সকে দলে নেয় কাতালান ক্লাবটি।

বার্সেলোনা প্রেসিডেন্ট জোয়ান লাপোর্তাদলের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে নতুন খেলোয়াড়দের দলে ভেড়ানোর সুযোগ করে দেওয়ায় বৃহস্পতিবার স্টেগানকে ধন্যবাদ জানান ক্লাব প্রেসিডেন্ট জোয়ান লাপোর্তা।

লা লিগা সভাপতি হাভিয়ের তেবাস জানান, তিনি নিজেও জানেন না বার্সেলোনার অর্থনৈতিক অবস্থা কবে স্বাভাবিক হবে।

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “এটি পুরোটাই নির্ভর করছে বার্সা এবং তাদের ব্যবসায়িক কৌশলের উপর। সামনে এগুনোর জন্য পদক্ষেপ হিসেবে তারা হয়তো বড় কোনো খেলোয়াড়কে বিক্রি করে দেবে। আমরা তা জানি না তারা এমনটা করবে কি না। কৌশলগুলো ক্লাব নিজে ঠিক করেছে। আমরা তা করে দেইনি।

অন্যদিকে, রিয়াল মাদ্রিদের ব্যয়ের সীমা ৭৮ কোটি ডলার। পরের অবস্থানে থাকা আতলেতিকো মাদ্রিদের খরচের সীমা ৩১ কোটি ৮০ লাখ ডলার। 

লা লিগার বেঁধে দেওয়া ব্যয়ের সীমার মধ্যে থাকে খেলোয়াড় কোচিং স্টাফদের বেতন, দলবদলের পরিশোধকৃত অর্থ, এজেন্টদের বেতন, বোনাস অন্যান্য খরচ।

দলগুলোর মোট আয় হতে তাদের দেনা খেলা ব্যতীত অন্য খাতে ব্যয়ের হিসেবকে বাদ দিয়ে ক্লাবগুলোর খরচের সীমা নির্ধারণ করা হয়।

মন্তব্য করুন: